আমরা  কি আইপিভি৬ এ পুরোপুরি  শিফট হচ্ছি ?

উত্তরঃ না ! এই মুহূর্তে আমরা  আইপিভি৬ গ্রহণ করছি আইপিভি৪ এর সাথে !!!!

 এ ক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে যে সার্ভিস গুলা আইপিভি৬ সাপোর্ট করে সার্ভিস গুলা অগ্রাধিকার ভিত্তিক আইপিভি৬ পাবেন এবং ন্যাট না থাকায় আইপিভি৬ এ সার্ভিসে  গুলা অনেক স্মুথ পাবেন। আর যে সার্ভিস গুলা আইপিভি৬ সাপোর্ট করে না সেই সার্ভিস গুলা আগের আইপিভি৪ এ পাবেন। 


সুতরাং আইপিভি৬ সক্রিয় করা মানে আইপিভি৪ এর সাথে আইপিভি৬ যুক্ত করে দুটাই ব্যবহার করছেন। 

আইপিভি৬ এর সুবিধা অনেক হলেও রাতারাতি শিফট হওয়া সম্ভব নয়, পুরোপুরি শিফট হতে কিছু সময় লাগবে। কারণ:

  • পুরনো ইনফ্রাস্ট্রাকচার: অনেক সংস্থার ইনফ্রাস্ট্রাকচার আইপিভি৪ এর জন্যই তৈরি করা। তাদের সবকিছু আইপিভি৬ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সময় লাগবে।
  • সফটওয়্যার আপডেট: সব সফটওয়্যার আইপিভি৬ এর সাথে কাজ করতে পারে না। তাই সব সফটওয়্যারকে আপডেট করতে হবে।
  • ব্যবহারকারীদের সচেতনতা: সাধারণ ব্যবহারকারীদের আইপিভি৬ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

কিভাবে বুঝবেন যে আপনি আইপিভি৬ ব্যবহার করছেন?

  • আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার: আপনার ISP যদি আইপিভি৬ সাপোর্ট করে, তাহলে সম্ভবত আপনি ইতিমধ্যেই আইপিভি৬ ব্যবহার করছেন।
  • আপনার ডিভাইস: আপনার কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্য কোন ডিভাইস যদি আইপিভি৬ সাপোর্ট করে, তাহলে সেটিংস দেখে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন।
  • অনলাইন টুল: অনলাইনে অনেক টুল আছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার আইপি অ্যাড্রেস দেখে নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি আইপিভি৪ না আইপিভি৬ ব্যবহার করছেন।যেমন :IPVFOO নামের একটা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন যা আপনি ইনস্টল করে সহজেই জানতে পারবেন। 

উপসংহার

আইপিভি৬ হল ইন্টারনেটের ভবিষ্যত। ধীরে ধীরে আমরা পুরোপুরি আইপিভি৬ এ শিফট হব। এই প্রক্রিয়াটিতে কিছু সময় লাগলেও, এর ফলে ইন্টারনেট আরো দ্রুত, নিরাপদ এবং বিশ্বব্যাপী ব্যবহারযোগ্য হবে।