আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাহলে হয়তো আইপি অ্যাড্রেস শব্দটি আপনার কানে আগেও এসেছে। এই আইপি অ্যাড্রেসই হল ইন্টারনেটে আপনার কম্পিউটার বা ডিভাইসের এক অনন্য ঠিকানা। আর এই ঠিকানা ব্যবস্থারই একটি নতুন সংস্করণ হল আইপিভি৬।

আইপিভি৪ থেকে আইপিভি৬: কেন এই পরিবর্তন?

আপনি হয়তো ভাবছেন, আগে থেকেই আইপি অ্যাড্রেস আছে, তাহলে নতুন করে আইপিভি৬ কেন? উত্তরটা খুব সহজ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আর প্রত্যেক ব্যবহারকারীরই একটি অনন্য আইপি অ্যাড্রেস দরকার। আইপিভি৪ সিস্টেমে আইপি অ্যাড্রেসের সংখ্যা সীমিত। এই সীমিত সংখ্যার কারণে ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য পর্যাপ্ত আইপি অ্যাড্রেস নাও থাকতে পারে।

আইপিভি৬ এই সমস্যার সমাধান করতে পারে কারণ এতে আইপি অ্যাড্রেসের সংখ্যা প্রায় অসীম। ফলে ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যতই বাড়ুক না কেন, প্রত্যেকের জন্যই একটি অনন্য আইপি অ্যাড্রেস পাওয়া যাবে।

আইপিভি৬ এর সুবিধা

  • অসীম সংখ্যক আইপি অ্যাড্রেস: ইন্টারনেটের বিস্তারের জন্য এটি সবচেয়ে বড় সুবিধা।
  • সহজ নেটওয়ার্ক পরিচালনা: আইপিভি৬ নেটওয়ার্ককে আরও সহজে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
  • বেশি নিরাপত্তা: আইপিভি৬ নেটওয়ার্ককে আরও নিরাপদ করে।
  • নতুন প্রযুক্তির সমর্থন: আইপিভি৬ নতুন প্রযুক্তিগুলোকে আরও ভালভাবে সমর্থন করে।

আইপিভি৬ এর চ্যালেঞ্জ

  • পুরাতন ডিভাইস: সব পুরাতন ডিভাইস আইপিভি৬-কে সমর্থন করে না।
  • পরিবর্তনের খরচ: নতুন সিস্টেমে পরিবর্তন করতে অনেক খরচ হতে পারে।

উপসংহার

আইপিভি৬ হল ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ। এটি ইন্টারনেটকে আরও বড় এবং ভাল করে তুলতে সাহায্য করবে। যদিও পরিবর্তন করতে কিছু সময় এবং খরচ লাগবে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।

আপনার জন্য কিছু প্রশ্ন:

  • আপনি কি জানেন আপনার ডিভাইসের আইপি অ্যাড্রেস কী?
  • আপনি কি মনে করেন আইপিভি৬ ইন্টারনেটকে কীভাবে পরিবর্তন করবে?

 

আপনার মতামত জানাতে দ্বিধা করবেন না।